বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ও সেক্টর এবং সাব-সেক্টর কমান্ডারদের নাম,তালিকা।
আজকের_বিষয়ঃ
* মুক্তিযুদ্ধ ও সেক্টর ,
* বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম,
* বীরশ্রষ্ঠের নাম ও পদবী এবং
*স্মৃতিসৌধ ৭টি স্তম্ভ তৈরি করার কারণ :
----------------------------------------------------------------------
=> ১। মুক্তিযুদ্ধের রনাঙ্গণের ১১ টি সেক্টর, সেক্টর কমান্ডার এবং ১১টি সেক্টরের হেড কোয়ার্টার এবং সাব-সেক্টরের নামের তালিকা ।
* বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম,
* বীরশ্রষ্ঠের নাম ও পদবী এবং
*স্মৃতিসৌধ ৭টি স্তম্ভ তৈরি করার কারণ :
----------------------------------------------------------------------
=> ১। মুক্তিযুদ্ধের রনাঙ্গণের ১১ টি সেক্টর, সেক্টর কমান্ডার এবং ১১টি সেক্টরের হেড কোয়ার্টার এবং সাব-সেক্টরের নামের তালিকা ।
------সেক্টর নং-
১ (এক)।
--সেক্টর কমান্ডার:
1. মেজর জিয়াউর রহমান (এপ্রিল-জুন)।
2. মেজর রফিকুল ইসলাম (জুন-ডিসেম্বর)।
--এলাকা: চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং ফেনী নদী পর্যন্ত।
--হেড কোয়ার্টার: হরিনা।
--সাব-সেক্টর: সাব-সেক্টর 5 টি (ঋষিমুখ, শ্রীনগর, মনুঘাট, তবলছড়ি এবং ডিমাগিরী)।
.
------সেক্টর নং- 2 (দুই)।
--সেক্টর কমান্ডার:
1. মেজর খালেদ মোশাররফ (এপ্রিল-সেপ্টেম্বর )।
2. মেজর হায়দার (সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর)।
--এলাকা: নোয়াখালী, কুমিল্লা, আখাউড়া, ভৈরব এবং ঢাকা ও ফরিদুর জেলার অংশ বিশেষ।
--হেড কোয়ার্টার: মেলাঘর, ত্রিপুরা, ভারত।
--সাব-সেক্টর: সাব-সেক্টর 6 টি (গঙ্গাসাগর,আখাউড়া ও কসবা, মন্দবাগ, সালদানদী, মালিগর,নির্ভয়পুর এবং রাজনগর)।
.
------সেক্টর নং- 3 (তিন)।
--সেক্টর কমান্ডার:
1. মেজর শফিউল্লাহ (এপ্রিল-সেপ্টেম্বর)।
2. মেজর নুরুজ্জামান (সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর)।
--এলাকা: আখাউড়া ভৈরব রেললাইন থেকে পূর্ব দিকে কুমিল্লা জেলা, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও ঢাকা জেলার অংশবিশেষ।
--হেড কোয়ার্টার: হেজামারাতে ।
--সাব-সেক্টর: সাব-সেক্টর 10 টি (আশ্রমবাড়ি, বাঘাইবাড়ি, হাতকাটা, সিমলা, পঞ্চবটি, মনতলা, বিজয়নগর, কালাছড়া, কলকলিয়া এবং বামুটিয়া)।
.
------সেক্টর নং- 4 (চার)
--সেক্টর কমান্ডার:
1. মেজর সি আর দত্ত।
--এলাকা: সিলেট জেলার পূর্বাঞ্চল, খোয়াই, শায়েস্তাগঞ্জ রেললাইন থেকে পূর্ব ও উত্তর দিকে সিলেট ডাইউকি সড়ক।
--হেড কোয়ার্টার: (প্রথমে) করিমগঞ্জ (পরে) নাসিমপুর।
--সাব-সেক্টর: সাব-সেক্টর 6 টি (জালালপুর, বড়পুঞ্জী আমলাসিদ, কুকিতলা, কৈলাস শহর এবং কমলাপুর)।
--সেক্টর কমান্ডার:
1. মেজর জিয়াউর রহমান (এপ্রিল-জুন)।
2. মেজর রফিকুল ইসলাম (জুন-ডিসেম্বর)।
--এলাকা: চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং ফেনী নদী পর্যন্ত।
--হেড কোয়ার্টার: হরিনা।
--সাব-সেক্টর: সাব-সেক্টর 5 টি (ঋষিমুখ, শ্রীনগর, মনুঘাট, তবলছড়ি এবং ডিমাগিরী)।
.
------সেক্টর নং- 2 (দুই)।
--সেক্টর কমান্ডার:
1. মেজর খালেদ মোশাররফ (এপ্রিল-সেপ্টেম্বর )।
2. মেজর হায়দার (সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর)।
--এলাকা: নোয়াখালী, কুমিল্লা, আখাউড়া, ভৈরব এবং ঢাকা ও ফরিদুর জেলার অংশ বিশেষ।
--হেড কোয়ার্টার: মেলাঘর, ত্রিপুরা, ভারত।
--সাব-সেক্টর: সাব-সেক্টর 6 টি (গঙ্গাসাগর,আখাউড়া ও কসবা, মন্দবাগ, সালদানদী, মালিগর,নির্ভয়পুর এবং রাজনগর)।
.
------সেক্টর নং- 3 (তিন)।
--সেক্টর কমান্ডার:
1. মেজর শফিউল্লাহ (এপ্রিল-সেপ্টেম্বর)।
2. মেজর নুরুজ্জামান (সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর)।
--এলাকা: আখাউড়া ভৈরব রেললাইন থেকে পূর্ব দিকে কুমিল্লা জেলা, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও ঢাকা জেলার অংশবিশেষ।
--হেড কোয়ার্টার: হেজামারাতে ।
--সাব-সেক্টর: সাব-সেক্টর 10 টি (আশ্রমবাড়ি, বাঘাইবাড়ি, হাতকাটা, সিমলা, পঞ্চবটি, মনতলা, বিজয়নগর, কালাছড়া, কলকলিয়া এবং বামুটিয়া)।
.
------সেক্টর নং- 4 (চার)
--সেক্টর কমান্ডার:
1. মেজর সি আর দত্ত।
--এলাকা: সিলেট জেলার পূর্বাঞ্চল, খোয়াই, শায়েস্তাগঞ্জ রেললাইন থেকে পূর্ব ও উত্তর দিকে সিলেট ডাইউকি সড়ক।
--হেড কোয়ার্টার: (প্রথমে) করিমগঞ্জ (পরে) নাসিমপুর।
--সাব-সেক্টর: সাব-সেক্টর 6 টি (জালালপুর, বড়পুঞ্জী আমলাসিদ, কুকিতলা, কৈলাস শহর এবং কমলাপুর)।
.
------সেক্টর নং- 5 (পাঁচ)।
সেক্টর কমান্ডার:
1. মেজর মীর শওকত আলী।
--এলাকা: সিলেট জেলার পশ্চিম এলাকা এবং সিলেট ডাইউকি সড়ক থেকে সুনামগঞ্জ এবং বৃহত্তর ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী অঞ্চল।
--হেড কোয়ার্টার: বাঁশতলা।
--সাব-সেক্টর: সাব-সেক্টর 6 টি (মুক্তাপুর, ডাউকি, শেলা, ভোলাগঞ্জ বালাট এবংবড়ছরা)
.
------সেক্টর নং- 6 (ছয়)।
--সেক্টর কমান্ডার:
1. উইং কমান্ডার বাশার ।
--এলাকা: ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী অঞ্চল ব্যতীত সমগ্র রংপুর জেলা ও ঠাকুরগাঁও ।
--হেড কোয়ার্টার: বুড়িমাড়ি (পাটগ্রামের নিকট)।
--সাব-সেক্টর: সাব-সেক্টর 5 টি (উজানপুর,পাটগ্রাম, সাহেবগঞ্জ, মোগলহাট এবং চিলাহাটি)।।।
------সেক্টর নং-
7 (সাত)।
সেক্টর কমান্ডার:
১। মেজর নাজমুল হক।
এবং পরে . মেজর কাজী নুরুজ্জামান ।
--এলাকা: সমগ্র রাজশাহী, ঠাকুরগাঁও ছাড়া দিনাজপুরের অবশিষ্ট অংশ এবং ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী এলাকা ব্যতীত সমগ্র পাবনা ও বগুড়া জেলা ।
--হেড কোয়ার্টার: বালুরঘাট, পশ্চিমবঙ্গ, ইন্ডিয়া।
--সাব-সেক্টর : সাব-সেক্টর 8 (আট) টি (মালন,তপান, মেহেদীপুর, হামজাপুর, আংশিনাবাদ,ভোলাহাট, ঠোকরাবাড়ি এবং লালগোলা)।
সেক্টর কমান্ডার:
১। মেজর নাজমুল হক।
এবং পরে . মেজর কাজী নুরুজ্জামান ।
--এলাকা: সমগ্র রাজশাহী, ঠাকুরগাঁও ছাড়া দিনাজপুরের অবশিষ্ট অংশ এবং ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী এলাকা ব্যতীত সমগ্র পাবনা ও বগুড়া জেলা ।
--হেড কোয়ার্টার: বালুরঘাট, পশ্চিমবঙ্গ, ইন্ডিয়া।
--সাব-সেক্টর : সাব-সেক্টর 8 (আট) টি (মালন,তপান, মেহেদীপুর, হামজাপুর, আংশিনাবাদ,ভোলাহাট, ঠোকরাবাড়ি এবং লালগোলা)।
.------সেক্টর নং-
8 (আট)।
--সেক্টর কমান্ডার:
1. মেজর আপু ওসমান চৌধুরী । (অক্টোবর পর্যন্ত)।
2. মেজর মেজর এম.এ মঞ্জুর (আগস্ট-ডিসেম্বর)।
--এলাকা: সমগ্র কুষ্টিয়া ও যশোর জেলা,ফরিদপুরের অংশ বিশেষ এবং দৌলতপুর শাতক্ষীরা সড়ক পর্যন্ত খুলনা জেলার এলাকা ।
--হেড কোয়ার্টার: বেনাপোল (হেড কোয়ার্টারের একটা বিরাট অংশ ছিল ভারতের কল্যাণী শহরে)।
--সাব-সেক্টর: সাব-সেক্টর 7 টি (বয়রা, হাকিমপুর, ভোমরা, লালবাজার, বানপুর, বেনাপোল এবং শিকারপুর)।
--সেক্টর কমান্ডার:
1. মেজর আপু ওসমান চৌধুরী । (অক্টোবর পর্যন্ত)।
2. মেজর মেজর এম.এ মঞ্জুর (আগস্ট-ডিসেম্বর)।
--এলাকা: সমগ্র কুষ্টিয়া ও যশোর জেলা,ফরিদপুরের অংশ বিশেষ এবং দৌলতপুর শাতক্ষীরা সড়ক পর্যন্ত খুলনা জেলার এলাকা ।
--হেড কোয়ার্টার: বেনাপোল (হেড কোয়ার্টারের একটা বিরাট অংশ ছিল ভারতের কল্যাণী শহরে)।
--সাব-সেক্টর: সাব-সেক্টর 7 টি (বয়রা, হাকিমপুর, ভোমরা, লালবাজার, বানপুর, বেনাপোল এবং শিকারপুর)।
.------সেক্টর নং-
9 (নয়)।
--সেক্টর কমান্ডার:
1. মেজর আবদুল জলিল (এপ্রিল-ডিসেম্বর পর্যন্ত)।
2. এম. এ মঞ্জুর (অতিরিক্ত দ্বায়িত্ব)।
--এলাকা: সাতক্ষীরার দৌলতপুর সড়কসহ খুলনা জেলার সমগ্র দক্ষিনাঞ্চল এবং বৃহত্তর বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলা ।
--হেড কোয়ার্টা: হাসনাবাদ, বাগেরহাট।
--সাব-সেক্টর: সাব-সেক্টর 3 টি (টাকি,হিঙ্গলগঞ্জ ও শমসের নগর)।
.
------সেক্টর নং- 10 (দশ)।
--সেক্টর কমান্ডার:
1. মুক্তিবাহিনীর ট্রেনিংপ্রাপ্ত নৌ-কমান্ডারগণ।
--এরিয়া: অভ্যন্তরীণ নৌপথ ও সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চল চট্রগ্রাম ও চালনা।
বি:দ্রঃ নৌ- কমান্ডো বাহিনী নিয়ে এই সেক্টর গঠিত হয়। এই সেক্টরে নিয়মিত কনো সেক্টর
কমান্ডার ছিলোনা। কোনো হেড কোয়ার্টার এবং সাব হেড -সেক্টর ছিল না।
.
-----সেক্টর নং- 11 (এগারো)।
--সেক্টর কমান্ডার:
1. মেজর আবু তাহের (এপ্রিল-নভেম্বর পর্যন্ত)।
2. ফ্লাইট লেঃ এম. হামিদুল্লাহ (3 নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত)।
--এলাকা: কিশোরগঞ্জ ব্যতীত সমগ্র ময়মনসিংহঅঞ্চল ।
--হেড কোয়ার্টা: মহেন্দ্রগঞ্জ।
--সাব-সেক্টর: সাব-সেক্টর 8 (আট) টি (মানকারচর, মহেন্দ্রগঞ্জ, পুরাখাসয়া, তালু, শিববাড়ী,
বাগমারা এবং মহেশখালী)।
গেরিলা সংগঠনসমূহের তালিকা
--সেক্টর কমান্ডার:
1. মেজর আবদুল জলিল (এপ্রিল-ডিসেম্বর পর্যন্ত)।
2. এম. এ মঞ্জুর (অতিরিক্ত দ্বায়িত্ব)।
--এলাকা: সাতক্ষীরার দৌলতপুর সড়কসহ খুলনা জেলার সমগ্র দক্ষিনাঞ্চল এবং বৃহত্তর বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলা ।
--হেড কোয়ার্টা: হাসনাবাদ, বাগেরহাট।
--সাব-সেক্টর: সাব-সেক্টর 3 টি (টাকি,হিঙ্গলগঞ্জ ও শমসের নগর)।
.
------সেক্টর নং- 10 (দশ)।
--সেক্টর কমান্ডার:
1. মুক্তিবাহিনীর ট্রেনিংপ্রাপ্ত নৌ-কমান্ডারগণ।
--এরিয়া: অভ্যন্তরীণ নৌপথ ও সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চল চট্রগ্রাম ও চালনা।
বি:দ্রঃ নৌ- কমান্ডো বাহিনী নিয়ে এই সেক্টর গঠিত হয়। এই সেক্টরে নিয়মিত কনো সেক্টর
কমান্ডার ছিলোনা। কোনো হেড কোয়ার্টার এবং সাব হেড -সেক্টর ছিল না।
.
-----সেক্টর নং- 11 (এগারো)।
--সেক্টর কমান্ডার:
1. মেজর আবু তাহের (এপ্রিল-নভেম্বর পর্যন্ত)।
2. ফ্লাইট লেঃ এম. হামিদুল্লাহ (3 নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত)।
--এলাকা: কিশোরগঞ্জ ব্যতীত সমগ্র ময়মনসিংহঅঞ্চল ।
--হেড কোয়ার্টা: মহেন্দ্রগঞ্জ।
--সাব-সেক্টর: সাব-সেক্টর 8 (আট) টি (মানকারচর, মহেন্দ্রগঞ্জ, পুরাখাসয়া, তালু, শিববাড়ী,
বাগমারা এবং মহেশখালী)।
গেরিলা সংগঠনসমূহের তালিকা
কর্নেল ওসমানী তিনটি
ব্রিগেড আকারের ফোর্স
গঠন করেছিলেন যেগুলোর নামকরণ করা হয়
তাদের অধিনায়কদের নামের
অদ্যাংশ দিয়ে ( এস
ফোর্স,কে ফোর্স,জেড ফোর্স)।
'কে' ফোর্সের অধিনায়ক= মেজর খালেদ মোশাররফ। ৪র্থ, ৯ম এবং ১০ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট নিয়ে গঠিত।
৪র্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট - কমান্ডিং অফিসার -
৯ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট - কমান্ডিং অফিসার -
১০ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট - কমান্ডিং অফিসার -
'এস' ফোর্সের অধিনায়ক= মেজর কে এম সফিউল্লাহ। ১৯৭১ এর অক্টোবর মাসে ২য় এবং ১১ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট নিয়ে গঠিত।
২য় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট - কমান্ডিং অফিসার -
১১ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট - কমান্ডিং অফিসার -
'জেড' ফোর্সের অধিনায়ক= মেজর জিয়াউর রহমান। ১ম, ৩য় এবং ৮ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট নিয়ে গঠিত।
'কে' ফোর্সের অধিনায়ক= মেজর খালেদ মোশাররফ। ৪র্থ, ৯ম এবং ১০ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট নিয়ে গঠিত।
৪র্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট - কমান্ডিং অফিসার -
৯ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট - কমান্ডিং অফিসার -
১০ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট - কমান্ডিং অফিসার -
'এস' ফোর্সের অধিনায়ক= মেজর কে এম সফিউল্লাহ। ১৯৭১ এর অক্টোবর মাসে ২য় এবং ১১ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট নিয়ে গঠিত।
২য় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট - কমান্ডিং অফিসার -
১১ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট - কমান্ডিং অফিসার -
'জেড' ফোর্সের অধিনায়ক= মেজর জিয়াউর রহমান। ১ম, ৩য় এবং ৮ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট নিয়ে গঠিত।
বাংলাদেশের_স্বাধীনতা_সংগ্রামেরঃ
--- বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭১ সালের ২৫শে
মার্চ রাত ১২
টার পর অর্থাৎ ২৬ শে মার্চ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা দেন।
--- চট্টগ্রামের আওয়ামীলীগ নেতা এম.এ
হান্নান চট্টগ্রাম বেতার
হতে ২৬শে মার্চ,
১৯৭১ প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচার করেন।
২৭ শে মার্চ,
১৯৭১ সালে তদানীন্তন মেজর এবং পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর প্রধান এবং
সাবেক সেনাশাসক: জিয়াউর রহমান প্রথম স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবের পক্ষে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
--- ১৯শে মার্চ,
১৯৭১ সালে গাজীপুরে মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ সংগঠিত হয়।
--- বাংলাদেশের পতাকা প্রথম উত্তোলন করা হয় ২রা মার্চ। আ.স.ম আব্দুর রব প্রথম এটি উত্তোলন করেন।
--- বাংলাদেশের পতাকা প্রথম উত্তোলন করা হয় ২রা মার্চ। আ.স.ম আব্দুর রব প্রথম এটি উত্তোলন করেন।
--- স্বাধীনতা যুদ্ধকালে বাংলাদেশকে ১১ টি
সেক্টরে ভাগ করা
হয়। তাজউদ্দীন আহমেদ
এর নির্দেশে এম.এ.জি
ওসমানী দেশকে ১১
টি সেক্টরে ভাগ
করেন। এর মধ্যে
১০ নং সেক্টরটি ছিলো সবচাইতে বেতিক্রম। এ সেক্টরে নিয়মিত কোনো সেক্টর কমান্ডার ছিলোনা।
--- মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার দেয় ৪
টি বিভাগে। (বীরশ্রেষ্ঠ, বীর উত্তম, বীর
বিক্রম, বীর প্রতীক)। এর মধ্যে
৭ জনকে বীর
শ্রেষ্ঠ, ৬৮ জনকে
বীর উত্তম, ১৭৫
জনকে বীর বিক্রম এবং ৪২৬ জনকে
বীর প্রতিক উপাধি
দেওয়া হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানের জন্য
মোট ৬৭৬ জনকে
রাষ্ট্রীয় খেতাব প্রদান করা হয়।
--- স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানের জন্য মহিলা
মুক্তিযোদ্ধা তারামন বিবি
এবং সেতারা বেগমকে বীর প্রতিক খেতাবে ভূষিত করা হয়।
তারামন বিবি ১১
নং সেক্টর (ময়মনসিংহ এবং টাঙ্গাইল) এবং
সেতারা বেগম 4 নং
সেক্টরে (সিলেট) যুদ্ধ
করেন।
--- ১৯৭১ সালে
ব্রিগেড আকারে ৩
টি ফোর্স গঠিত
হয়েছিল। যথা : (1) জেড ফোর্স-মেজর জিয়াউর রহমান। (2) এস ফোর্স-মেজর শফিউল্লাহ। (3) কে ফোর্স-মেজর
খালেদ মোশাররফ।
--- মুক্তিযুদ্ধের সময়ে
বাংলাদেশের অভ্যন্তর থেকে
মুক্তিযুদ্ধ করেন, টাঙ্গাইলের কাদেরিয়া বাহিনী, বরিশালের হেমায়েত বাহিনী, কমরেড
তোহা ও সিরাজ
সিকদার।
--- বাংলদেশের মুক্তিযুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছিলো প্রায় ৩০ লক্ষেরও বেশি।
--- ১৯৭১ সালে
ঢাকায় কর্মরত ব্রিটিশ সাংবাদিক সাইমন ড্রিং
যিনি বহির্বিশ্বে সর্বপ্রথম বাংলাদেশে পাকিস্তানি বর্বরতার খবর প্রকাশ করেন।
--- ১৯৭১ সালে
সাইমন ড্রিং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাক
দখলদার বাহিনীর হত্যাযজ্ঞ প্রত্যক্ষ করেন এবং
বিদেশি মাধ্যমে প্রচার করেন।
--- ১৯৭১ সালের
২৫শে মার্চ কালো
রাত্রিতে, নিরিহ বাঙালী জনগোষ্ঠীর উপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যে
সামরিক আগ্রাসন ও
হত্যাযজ্ঞ চালায় তাঁকে
বলা হয় থাকে
অপারেশন সার্চলাইট। ১৯৭১
সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে
পাকিস্তানি নৌ-শক্তিকে ধংস করার জন্য
পরিচালিত হয় অপারেশন জ্যাকপট।
--- একমাত্র বিদেশী খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা যাকে
বীর প্রতিক খেতাবে ভূষিত করা হয়
তিনি হচ্ছেন হোয়াইল হেমার। এই মহান
মুক্তিযোদ্ধা অস্ট্রেলিয়ায় নাগরিক (জন্ম নেদারল্যান্ড)।
১৮ই মে, ২০০১
সালে তিনি মৃত্যুবরন করেন।
--- ৪ ঠা
এপ্রিল ১৯৭১ সালে
মুক্তিযুদ্ধের সময়ে নিহত
হন ইতালীয় নাগরিক মাদার মারিও ভেরেনজি।
--- স্বাধীনতা যুদ্ধে অর্থ সংগ্রহের জন্য
কবিতা পাঠের আয়োজন
করেন রাশিয়ার (ইয়োভেগেনি ইয়েভ তুসোস্কোর) এবং
আমেরিকার (এলেন গিনেসবার্গ)। এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে দুইজন
শিল্পী (1) জর্জ হ্যারিসন (Britain) এবং
(2) শংকর (INDIA) Concert for Bangladesh এর আয়োজন
করেন।
--- জাতিসংঘের দুটি
শক্তিশালী দেশ যথা
: যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন
মুক্তিযুদ্ধের সময়ে বাংলাদেশের বিরোধীতা করেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে জাতিসংঘের শক্তিশালী তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন বাংলদেশেকে সহযোগিতা করেন।
--- মুক্তিযুদ্ধের সময়ে
বাংলাদেশী যুবকদের নিয়ে
মুজিব বাহিনী (বি.এল.এফ)
গঠিত হয়। ঢাকা
সেনানিবাসস্থ মুক্তিযোদ্ধা জাদুঘরের নাম বিজয় কেতন।
--- মুক্তিযুদ্ধের সময়ে
প্রথম শত্রুমুক্ত হয়
যশোর জেলা। ৭ই
ডিসেম্বর, ১৯৭১। বাংলাদেশের সর্ব কনিষ্ঠ খেতাব
প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম চৌধুরী। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে তাঁর বয়স
ছিলো ১২ বছর।
মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য
তাঁকে বীর প্রতিক খেতাব প্রদান করা
হয়। ১১ নং
সেক্টরে (ময়মনসিংহ এবং
টাঙ্গাইল) তিনি যুদ্ধ
করেন।
--- ইয়াহিয়া খাঁন
১৯৭১ সালে ঘোষণা
দেন "এ দেশের
মাটি চাই, মানুষ
নয়"।
--- মুক্তিযুদ্ধে আত্মসমর্পণের দলিল
স্বাক্ষরিত হয় রেসকোর্স ময়দানে। বাংলাদেশের পক্ষে
বাংলাদেশ-ভারত যৌথ
কমান্ডের প্রধান জেনারেল জগৎ সিং অরোরা
ও পাকিস্তানের পক্ষে
জেনারেল এ.কে
নিয়াজি ঐতিহাসিক দলিলে
স্বাক্ষর করেন।
--- ৯৩ হাজার
পাকিস্তানি সৈন্য যৌথ.
বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন ১৯৭১ সালে।১৬ই ডিসেম্বর আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষে বা
মুক্তিবাহিনীর পক্ষে নেতৃত্ব দেন তৎকালীন বিমান
বাহিনীর প্রধান এয়ার
কমোডর এ.কে
খন্দকার।
--- ফরাসি সাহিত্যিক আদ্রে মায়ারা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য
সাহিত্যিক আবদুস সাত্তার বীর প্রতিক খেতাব
পান।
--- মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে "স্বাধীন বাংলা
বেতার কেন্দ্র" স্থাপিত হয়
চট্টগ্রামের কালুরঘাটে ২৬
শে মার্চ, ১৯৭১
সালে।
--- মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনটি
সাংগঠনিক শ্রেণী ছিলো।
যথা : (1) নিয়মিত বাহিনী (2) সেক্টর বাহিনী (3) গেরিলা বাহিনী।
--- মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্টা করেন,
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
--- ১৪ই ডিসেম্বর, ১৯৭১ বিজয়ের ঠিক
আগ মূহুর্তে বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের উপর ব্যাপক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।
পরবর্তীতে এই দিনটিকে বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
--- মুক্তিযুদ্ধের সময়ে
ডাঃ সেতারা বেগম
সেনাবাহিনীতে ক্যাপ্টেন পদে
নিযুক্ত ছিলেন।
--- ২৬ শে
মার্চকে "জাতীয় দিবস
বা স্বাধীনতা দিবস"
হিসেবে ঘোষণা করা
হয় ১৯৮০ সালে।
--- বঙ্গবন্ধু প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন ১২ই জানুয়ারি, ১৯৭২সালে।
--- বঙ্গবন্ধু প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন ১২ই জানুয়ারি, ১৯৭২সালে।
--- ঢাকার সেগুনবাগিচায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর অবস্থিত।
--- ১৯৭১ সালের
১০ই ডিসেম্বর বাংলদেশ থেকে বিদেশিদের সরিয়ে
নিতে বিমান হামলা
বন্ধ রাখা হয়।
--- নিহত মুক্তিযোদ্ধাদের সন্মানে জাতীয় "শোক দিবস"
পালিত হয় ১৯৭২
সালের ১৪ই জানুয়ারী।
--- ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর সকল প্রকার অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য অপারেশন ক্লোজডোর পরিচালনা করা হয়।
--- ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর সকল প্রকার অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য অপারেশন ক্লোজডোর পরিচালনা করা হয়।
--- বাংলাদেশে আটকে
পড়া পাকিস্তানি সৈন্য
ছিলো ২ লাখ
৩৮ হাজার।
No comments