Header Ads

চাকরি পাওয়ার ম্যাজিক কৌশল! সহজেই ভালো চাকুরী পেতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস।

জব খোজার আগে যে বিষয়গুলি ফ্রেশ প্রকৌশলীদের জানা দরকার:-

ভাল কোম্পানী গুলিতে আপনাকে জব পেতে কোম্পানির নিয়োগ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে জব পেতে হবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় অনেকেই রেফারেন্সের জোরে ইন্টার্ভিউ পর্যন্ত যেতে পারলেও তারা লিখিত পরীক্ষায় টিকতে পারেন না
এর জন্য অবশ্যই নিজেকেই দায়ী করতে হবে, কারন আপনি স্টাডির পাশাপাশি নিয়োগ প্রক্রিয়া এর জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে পারেন নাই।
ভালো মানের ফেক্টরিতে জব করতে হলে তাদের HR এর নিয়োগ প্রক্রিয়া অনুসারে আপনাকে ঢুকতে হবে যার জন্য আপনাকে লিখিত, মৌখিক, প্রেজেন্টেশন দিয়ে জব পেতে হবে।
মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে জব এর জন্য রেফারেন্স লাগে না এর জন্য কোয়ালিফিকেশন লাগে, মেক্সিমাম ষ্টুডেন্ট নিয়োগ প্রক্রিয়া না জানার কারনে বাড়তি ঝামেলা মনে করে ওই জব গুলিতে এপ্লাই করেন না যার ফলে এই সেক্টরে এখনো অনেককেই প্রতিযোগী হীন করে রাখছে।
রানিং ষ্টুডেন্ট এবং ফ্রেশারদের ধারনা প্রকৌশলীদের ভাইবায় শুধু প্রকৌশলের প্রশ্ন হয়। এটি সম্পুর্ন ভুল ধারনা, কারন প্রযুক্তি একটি এপ্লাইড সাইন্স তাই এইখানে জবের জন্য সব দিকে ১০০ ভাগ কোয়ালিফাইড হতে হবে, কিছু গুনাগুন আপনার কাজে দিবে যেমন ম্যাথম্যাটিকাল এবিলিটি, সাধারন জ্ঞান, প্রেজেন্টেশন, ভাষার দক্ষতা ইত্যাদি।

ভাইবার প্রশ্ন হতে পারেঃ

৩০% প্রযুক্তি ভিত্তিক।
১০% ম্যাথম্যাটিকাল প্রব্লেম।
২০% ইংরেজি।
২০% জেনারেল নলেজ।
১০% সিভি।
১০% রেফারেন্স।

এখানে একটি ভুল ধারনার জন্য মেক্সিমামরা প্রথম ভাইবা তে উর্ত্তীণ হতে পারেন না।
মেক্সিমাম ষ্টুডেন্ট ভাইবার আগে ভালো কন্সালটেন্সী পান না, বিধায় তারা ভাইবা বোর্ডে নানান অসুবিধায় পড়েন ৮০% ষ্টুডেন্ট প্রথম ভাইবা দিয়ে বোঝেন ইন্ডাষ্ট্রির ভাইবার প্রক্রিয়া আসলেই কেমন হয়। সরকারী, বেসরকারী, মাল্টিন্যাশনাল, ব্যাংক, ছোট কোম্পানী, বড় কোম্পানী একক যায়গার ভাইবা একেক ধরনের।
ডিফেন্স এর ভাইবার সময় কি ভাবে প্রশ্ন হয় বা তার উত্তর কি ভবে দিতে হয় এর জন্য ডেমো টেস্ট বা মক টেস্ট ফেইস করে যায় সবাই যাতে করে তাদের কাছে ওই বিষয় গুলো আগে থেকে জানা থাকে, আমাদের জুনিয়ররা চাইলে সিনিয়র দের হেল্প নিয়ে আগে থেকে সেই সম্বাভ্য প্রশ্ন জেনে ভাইবায় যেতে পারেন। জব সিরিয়াস ইস্যু এর ক্ষেত্রে নো কম্প্রোমাইজ।
আমাদের অনেক নবীণ প্রকৌশলী, প্রকৌশল এর সংজ্ঞা, বেসিক ইজ্ঞিনিয়ারিং
এর সংজ্ঞা বলতে অনেক কস্ট পেতে হয় তার কারন হলো সেমিস্টার শেষ হলে স্টাডি মডিউল তারা তুলে রাখে, আমাদের মতে একজন ইঞ্জিনিয়ার ৪র্থ বছরে উঠলে অন্তত তার জবের কথা চিন্তা করে হলেও তার গত তিন বছরের পড়া গুলি রিভিউ করা উচিৎ, ফাইনাল পরীক্ষার পর শুধু সেলফি নিয়ে ব্যস্ত না থেকে শেষের তিন বছরের মৌলিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয় গুলি ভাল করে আবার পড়া দরকার।
অনেকেই নিজের মেজর পড়েই খালাস, কিন্তু সেমিস্টার খুব বেশি নয়, তাই একজন অন্য জন থেকে খুব বেশি জেনে যাবেন না ঠিক নয়, সিনিয়র যারা কর্মরত আছেন তাদের বেইস স্টাডি করে দেখবেন ৬০-৭০% ষ্টুডেন্ট নিজের ট্রেড অনুযায়ী জব করতে পারেন না। ধরুন আপনি মার্কেটিং এর জব করবেন তার জন্য স্পেসিফিক কোন মেজর নেই, এটা আরো বড় বিপদ কারন এর জন্য A to Z সব কিছু জানতে হবে। সাধারন ফেক্টরী গুলি ইঞ্জিনিয়ার বলতে বোঝে আপনি সকল বিষয়ে অভিজ্ঞ একজন ব্যাক্তি কিন্ত আপনি যদি এক বিষয় এর উপর নির্ভর করে থাকেন তবে আপনি তাদের চোখে বোকা থেকেই যাবেন বা ইউসলেস
 আরেকটি বিষয় যেটা টেক্সটাইল এর জব এর ক্ষত্রে জানতে চায় কোম্পানি তা হলো অভিজ্ঞা, বলতে পারেন ফ্রেশার এর বার অভিজ্ঞতা কি !!! ফ্রেশার এর অভিজ্ঞতা হলো তার ইন্টার্ন এর আর প্রজেক্ট করার অভিজ্ঞতা
অতিব দুঃখের সাথে বলতে হয় টেক্সটাইল নবীন ইঞ্জিনিয়ার ৮০% স্টুডেন্ট ইন্টার্ন কে পিকনিক আর সেল্ফি তোলার স্থান মনে করেন যার ফলে প্রেক্টিকাল ফেক্টরি জনার অভিজ্ঞতা থেকে তারা বঞ্চিত হন। এটি জবের পওয়ার পরো ভোগায়।
এগ্রিমেন্ট / চুক্তি:
এগ্রিমেন্ট সম্পর্কে আমাদের আমাদের ফ্রেশার জুনিয়র দের ভুল ধারনা আছে অনেকেই এগ্রিমেন্ট শুনলে অনেকেই জব করতে চান না, এগ্রিমেন্ট করা থাকলে আপনাদের সহজে চাইলেও বের করে দিতে পারবে না, আর বের করতে হলে আপনাদের মাসের সেলারি দিয়ে পরে বের করতে হবে। আর যার এগ্রিমেন্ট ছাড়া জব করেন তারা সকালে ফেক্টরিতে ঢুকে বিকেলে জব থাকবে কিনা তার গ্যারান্টি দিতে পারেন না, আর তাদের মাস অপেক্ষা করতে হয় জব স্থায়ী হতে
ভাষার সমস্যা:
বেশির ভাগ ষ্টুডেন্ট ইংরেজি বলার দক্ষতা দেখলে ইন্টার্ভিউ বোর্ডের কর্মকর্তাগন হাসেন, কারন বছর ইংলিশ পড়ার পরও ভাষা তারা অতটা ভাল বলতে পারেন না প্রকৌশল সেক্টর এখন একটি গ্লোবাল সেক্টর এখানে দেশি বিদেশী মিশ্র তাই এখানে বহু ভাষা জানার মুল্য অসীম।
স্মার্টনেস:
আমাদের জুনিয়রদের স্মার্টনেস এর ধারনা ভুল ধারনা আছে তাদের মাঝে হাতে রিস্ট বেন্ড, হেয়ার স্টাইল আর ঢাকাইয়া মডে কথা বলাটা স্মার্টনেস। এই ধারনা ভুল স্মার্টনেস বলে বোঝায় শুদ্ধ বাচন ভংগি, ভালো উপস্থাপনা, ভালো বডি ল্যাংগুয়েজ, ভালো IQ, ভালো প্রযুক্তি জ্ঞান, উপস্থিত বুদ্ধি ইত্যাদি সব কিছুর কম্বিনেশন, এটি শুধু প্রকৌশল জব নয় অন্য সকল জব এর জন্য এই গুনগুলি থাকা জরুরী।
কম্পিউটার স্কিল:
এখন জব যেমন হউক না কেন সকলকে বাংলা ইংলিশ স্পিডে কম্পোজ, এক্সেল এর উপর খুব বেশী ধারনা, পাওয়ার পয়েন্ট, গ্রাফিক্স, অটোক্যাড থ্রি ডি, টুডি বিষয়ে কম্পিউটার দক্ষতা থাকা জরুরী। তাই ভাইবা নেয়ার সময় কম্পিউটার এর প্রেক্টিকাল টেস্ট নেয়া হয় অনেক ক্ষেত্রে। তারা এক্সেল এর সুত্র গ্রাফ, চার্ট করতে দেয়। আমাদের জুনিয়র অনেকেই কম্পিউটার এর ব্যাবহার বলতে গান বাজানো আর ফেইবুকিং আর ফটো এডিটিং বোঝে
CGPA fact:
নিজেকে মালিক এর পজিশনে রেখে চিন্তা করুন আপনি আপনার প্রতিষ্ঠানে দক্ষ লোক নিবেন কিনা !!! যেহেতু আপনি তাকে কাজের বিনিময়ে সেলারি দিচ্ছেন অবশ্যাই আপনি চাইবেন তার কিছু কোয়ালিটি দক্ষতা থাকুক তাই কোম্পানি গুলি ভালো CGPA এর কন্ডিশন বেধে দেয় আপনাদের
হা আমি দক্ষ !!!
আমি কোঠোর পরিশ্রমি !!!
আমি অনেক জানি !!!
হা, আপনি ফ্রেশার জব এর এক্সপেরিয়েন্স নেই, তাই আপনার কোয়ালিটি মেজার করার একমাত্র প্যারামিটার হলো আপনার একাডেমীক রেজাল্ট আর ব্যাক গ্রাউন্ড, আপনার রেজাল্ট আপনার ভালো মন্দ বিচার করবে তাদের কাছে আপনি জ্ঞানের জাহাজ বুঝলাম কিন্তু আপনার CGPA খারাপ, ভাইবার পার্ফোমেন্স খারাপ তো এই জাহাজ এর মুল্য ভাংগারির মতো।

সিভি ফেক্ট :
কাল ভাইবা আজ মনে হলো
সিভি রেডি নেই !!!
সিভি কেমন হওয়া উচিৎ !!!
কভার লেটার দিবো কি দিবো না !!!
এমন যদি হয় তবে আপনার ভেতরে পেশাদারিত্বের অভাব আছে , আপনি চাকুরি থাকে অবসর নেয়ার আগ দিন পর্যন্ত আপডেট সিভি, কভার লেটার থাকা জরুরী, তবে এর জন্য কেনো একটু সময় দেবেন না। লাগে ষ্টুডেন্ট লাইফের টা বছর সময় দিন আস্তে আস্তে গুছান সিভি কভার লেটার।
দেখুন তাড়াহুড়া করে এসাইনমেন্ট এর মতো কপি পেস্ট করতে গিয়ে, অন্যের বাবা মার নাম যেনো এডিট করতে না ভুলে যান যেন একেক প্রতিষ্ঠানের প্যাটার্ন একেক ধরনের, আপনাকে সিভি ড্রপের আগে প্রতিষ্ঠান বা সেক্টর বিষয়ে ধারনা নিতে হবে সিভি লেখার আগে।
প্রতীযোগী থাকা:
প্রতিযোগী থাকবে এটাই স্বাভাবিক তাদের হিংসে দিয়ে নয় নিজের গুন, কোয়ালিটি দিয়ে হারিয়ে পজিশনে যেতে হবে আপনার ক্লাস মেটো আপনার প্রতিযোগী আপনাকে আপনার কোয়ালিটির দিকে নজর দিতে হবে কোয়ানটিটির উপর নয়।
নিজের ভার্সিটির বড়ভাই খোজা:
ম্যাক্রিমাম ষ্টুডেন্টদের ক্ষেত্রে দেখা যায় তারা নিজ ভার্সিটির বড় ভাই খুজে বেড়ান, হা এটি কিছু ক্ষেত্রেে পজেটিভ যেমন জব এর ভেকেন্সি গুলি জানা যায়।
নেগেটিভ দিক হলো এটির উপর নির্ভর করে আন কোয়ালিফাইড ষ্টুডেন্ট গুলি যারা প্রতিযোগিতায় ভয় পায়।
রিয়েলিটি হলো নিজের ভার্সিটি ষ্টুডেন্ট দিয়ে কাজ করানো যায় না কারন তাদের উপর রাগ দেখানো যায় না, আর অনেক প্রাইভেসি তারা এক্সপোজ করে দেয়। এখানে কাজের ক্ষেত্রে ভাই, বন্ধু কোন মুল্য নাই। যা থাকার সব ফেক্টরীর বাইরে থাকে।
সেক্টর বা জব স্টাডি:
একজন পেশাদারী ইঞ্জিনিয়ার মেজর নেয়ার পর একটি কাজ এসাইনমেন্ট এর মতো করতে পারে তা হলো ফেক্টরিতে কোন জবের জন্য কি কোয়ালিটি, কোয়ালিফিকেশন লাগে তা স্টাডি করে নিজের ইভালিউশন করে তা নিজের মাঝে ইম্পলিমেন্ট করা
পর নির্ভরশীলতা:
প্রাইভেট সেক্টরে রেফারেন্স ছাড়া জব হয় না এই ভ্রান্ত ধারনা কে পুঁজি করে অনেকে হাত পা গুটিয়ে বসে থাকে যার ফল স্বরুপ নিজের পার্সোনাল স্কিল গুলি ডেভলমেন্ট না করে অন্যের আশায় বসে থাকেন। তারা মনে করেন মামা চাচা থাকলেই হয় রেজাল্ট বা স্কিল এর মুল্য নাই সারভাইব করতে হলে স্কিল দিয়ে টিকে থাকতে হবে রেফারেন্স এর মুল্য শুধু মাত্র ইন্টার্ভিউ পর্যন্ত। মনে রাখবেন মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানি তে স্কিল লাগে তারা রেফারেন্স দেখে না। তা হলে কি জব করবেন না মাল্টিন্যাশনাল ?
জব সোর্সিং :
বেশির ভাগ ষ্টুডেন্ট জব খুজতে BD jobs এর উপর নির্ভর করেন কিন্তু আদর্শ জব গুলোর নিয়োগ Linkedin হয় যা অনেকের অজানা।
রেফারেন্স এর এতো মূল্যায়ন কেনো !!
প্রাইভেট সেক্টরে রেফারেন্স দরকার এই কারনে যেনো আপনি ভুল করে চলে গেলে আপনাকে ধরার জন্য যে রেফারেন্স দিয়েছে যে তাকে দিয়ে যেন আপনাকে বের করা যায়।
ট্রেনিংঃ
পাশ করার পর বিশেষ বিশেষ কিছু ট্রেনিং নিতে হবে। বিশেষ করে ভাষা, কম্পিউটার, ম্যানেজমেন্ট, প্রাকটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, বিশেষ কিছু অ্যাপ্লিকেশন ইত্যাদি।


No comments

Powered by Blogger.