এ.এম.আই.ই (AMIE) ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য।
এ.এম.আই.ই (AMIE) ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য।
ইদানিং প্রায় দেখি এ,এম,আই,ই AMIE associate member of Engineering institute
এটা নিয়ে নানাবিধ পোষ্ট হচ্ছে এটা নিয়ে আগ্রহ কৌতুহল নেই এমন কাউকে মনে হয় খুজে পাওয়া যাবে না।তাই আমি যেটুকু জানি তাই দিয়ে
বিষয়টি একটু ক্লিয়ার করতে চেষ্টা করছি। আশাকরি এটা দিয়ে কৌতুহল মিটবে এবং অনেকটা ধারনা হবে।
এবার মূল আলোচনায় আসা যাক,এম,আই,ই ডিগ্রী ইঞ্জিনিয়ারদের সংঘটন ইঞ্জিনিয়ারিং এসোসিয়েশন কতৃক প্রদত্ত একটা প্রফেশনাল ডিগ্রী, এটা বাংলাদেশের যে কোন সরকারি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালেয় এর প্রদত্ত বিএসসি ডিগ্রীর সমমান এটা দিয়ে বিসিএস সহ সকল প্রথম
শ্রেনীর প্রকৌশল জবে এটেন্ড করতে পারবেন। একটা সহজ কথা হল আইইবি যেহেতু ইন্জিনিয়ার স্বৃকৃীতি দেয় আর তারাই যেহেতু এএমআইই কনট্রোল করে তাহলে এর গুরুত্ব নিশ্চয় আর বলতে হবে না আরেকটা কথা হল আন্তর্জাতিক ভাবে যেমন ইংল্যান্ডে বুয়েট ছাড়া বাংলাদেশের আর কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যচেলর ডিগ্রী সেদেশের ব্যচেলর ডিগ্রীর সমমান হিসাবে স্বৃকৃীতি দেয়না কিন্তু এএমআইই ইংল্যান্ডে ব্যচেলর ইন অনার্স ডিগ্রীর সমমান হিসাবে স্বৃকৃীত এমনকি যুক্তরাষ্টেও একই ব্যপার তাছাড়া কমনওয়েলথ ভুক্ত সবগুলো দেশেই এটি বিএসসির সমমান বিধায় এএমআইই পাশ করতে পারলে বিদেশে ও রিলেটেড জব করতে পারবেন অনায়াসে।
যেহেতু ইনফরমাল এডুকেশন তাই বাংলাদেশে এ,এম,আই,ই তে কোন ক্লাশ হয়না নিজে নিজে পড়ে পরীক্ষা প্রস্তুতি নিতে হয় তাই পাশের হার ১০-১৫% তাছাড়া বুয়েট প্রশ্ন করে বুয়েট খাতা মুল্যায়ন করে ফলাফল প্রকাশ করে। তবে প্রাইভেট বা কোচিং এর সুবিধা আছে।
ভর্তি যোগ্যতা বয়স হতে হবে সর্বনিম্ন ১৭ বছর। জেনারেলরা এইচএসসি বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ ৫ এর মধ্যে ৪ এবং ফিজিক্স,ক্যমেষ্ট্রি,ম্যথ ও ইংরেজীতে মিনিমাম ৩ জিপিএ পেতে হবে তাহলেই ভর্তি যোগ্যতা পাবেন।
ডিপ্লোমাদের জন্য ডিপ্লোমাতে জিপিএ ৪ এর মধ্যে ৩ পেতে হবে।প্রতি বছর দু বার ভর্তি ভর্তির জন্য যোগ্যতা অর্জনের পর ফর্ম নিতে হবে। ভর্তি হতে হলে সব প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র মানে সার্টিফিকেটের সত্যায়িত কপি দুজন এএমআইই কমপ্লিট করা মেম্বার সত্যায়ন করে দেবে তাদের নাম্বার সহ এটার জন্য চিন্তার কোন কারন নেই ভর্তি সংক্রান্ত সকল সহযোগীতার জন্য ইঞ্জিনিয়ারিং ইনিষ্টিটিউটের লাইব্রেরীতে ভর্তি চলাকালীন সময়ে দুজন মেম্বার বসে থাকে সার্বিক সহযোগীতার জন্য। সার্টিফিকেট গুলোর মুলকপি নিলে তারাই সত্যায়ন করে দেবে।
এর পর ব্যংকে টাকা জমা দিয়ে রশিদ নিয়ে এডমিশন ফর্ম জমা দিয়ে দেবেন ভর্তির ১ বছর পর পরীক্ষা দেয়ার যোগ্যতা অর্জন করবেন।
এই কোর্সে ৩ টি সেকশন A, B,
C সেকশন A এর সকল সাবজেক্ট পাশ করলেই B তে আর C হল যারা A, B পাশ করবে তাদের সার্টিফিকেট এর জন্য প্রাকটিক্যাল পরীক্ষা তবে A ও B পাশ করলে আর C তে ঠেকানো হয় না।
এই কোর্সে ৪ টি ডিপার্টমেন্ট যথা সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল
ইঞ্জিনিয়ারিং,ও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিটি ফ্যাকাল্টির জন্য কিছু কমন সাবজেক্ট পড়তে হয় সেকশান "এ"তে যেমন ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যাথমেটিকস,ফিজিক্স, ইঞ্জিনিয়ারিং মেকানিক্স,বেসিক ফ্লুইড ম্যকানিক্স এর সাথে ডিপার্টমেন্ট
সাবজেক্ট এর পর সেকশান
"বি" তে ফ্যকাল্টি মত মেজর সাবজেক্ট সাথে কিছু অফশনাল বিষয়। কিছু (৪ টি) সাবজেক্ট দেয়া সেগুলো থেকে বেছে ২ টি নিতে হবে। প্রতিটি সাবজেক্টে কমপক্ষে ২.২৫ জিপিএ পেতে হবে এটাই পাশ মার্ক সাবজেক্ট
ওয়াইজ এবং সিজিপিএ কমপক্ষে ২.২০ হলেই পাশ ধরা হবে। প্রতি বছর দূই বার পরীক্ষা হয় ব্যংক ড্রাফটের মাধমে পরীক্ষার ফিস জমা দিতে হয় ব্যংক ইনিষ্টিটিউটের ভিতরেই আছে সাবজেক্ট প্রতি নির্ধারিত হারে যে কয়টি পরীক্ষা দিতে চান। প্রতিবার পরীক্ষায় নুন্যতম ১ টি সর্বোচ্চ যা আপনি পারবেন ততটি বিষয়ে
পরীক্ষা দিতে পারবেন।
পরীক্ষা প্রতি বছর দুইবারে অনুষ্ঠিত হয় সম্ভাব্য তারিখ সেকশন এ ও বি মার্চ প্রথম শনিবার ও সেপ্টেম্বারের প্রথম শনিবার শুরু হয় ঢাকার পরীক্ষা হয় বুয়েট ক্যম্পাসে তাদের তত্ত্বাবধানে। ভর্তি ফর্ম পূরন করার সময় কেন্দ্র উল্লেখ করতে হয় পরে চেন্জ করতে হলে চার্জ দিতে হয়। পরীক্ষা কেন্দ্র ঢাকা,চট্রগ্রাম,খুলনা,রাজশাহী, ও কুমিল্লা।
তবে বর্তমানে ঢাকা,চট্রগ্রাম ও রাজশাহী তে চালু আছে। রেজাল্ট মার্চ সেশনের
টা মে মাসের শেষের দিকে আর সেপ্টেম্বারের টা নভেম্বারের শেষে।
ইতিকথা হচ্ছে এই কোর্সটির জন্য ইংরেজী জানা আবশ্যক আমরা যারা ডিপ্লোমা হোল্ডার তারা প্রায়ই ইংরেজীতে দূর্বল তাই তাদের প্রতি অনুরোধ ডিপ্লোমা পাশ বা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাস্টমেন্ট সময় স্পোকেন ইংলিশ কোর্সটা করে রাখবেন তাহলে উপকার পাবেন।
এ কোর্সে নিয়মিত অধ্যাবসায় করলে পাশ করতে পারবেন ডিজাইন সাবজেক্ট টাই একটু কঠীন বিগত ১০ সালের প্রশ্ন গুলো সংগ্রহ করুন নিয়মিত লাইব্রেরীতে গিয়ে বিভিন্ন বইয়ের নোট করুন।
বিদ্রঃ ভর্তির সন থেকে পরবর্তী ১৫ বছর পর্যন্ত রেজিষ্ট্রেশনের মেয়াদ থাকবে এর মাঝে সেকশন এ,বি,সি পাশ করতে হবে নতুবা একটা সাবজেক্টও পাশ করা বাকী থাকলে নতুন করে পুনরায় শুরু করতে হবে প্রথম থেকে। মানে পূর্বের পাশ করা সাবজেক্টগুলো ও বাতিল হয়ে যাবে।
সবাইকে ধন্যবাদ।
No comments