পুলিশ NSI ভেরিফিকেশন প্রস্ততি এ টু জেড।
পুলিশ NSI ভেরিফিকেশন প্রস্ততি।
চাকরি হওয়ার পরের ধাপ হল ভেরিফিকেশন । এই ধাপটি পার করতে পারলেই আপনার চাকরি নিশ্চিত। কিন্তু আগের রেকর্ড থেকে যেটা দেখা যায় সেটা হল ভেরিফিকেশনে কিছু লোকের চাকরি আটকে যায় মানে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে সেটা প্রায় ১০% এর কাছাকাছি (328) এর অভিজ্ঞতা থেকে। প্রথম বার রিপোর্ট নেগেটিভ আসলে ২য় বার ভেরিফিকেশন করা হয়। তখন বেশিরভাগে ই পজেটিভ রিপোর্ট আসে কিন্তু তার পরও কিছু সংখক এর রিপোর্ট খারাপ ই থেকে যায় এবং গেজেট হয় না মানে চাকরি হয় না। ২য় বার যাদের ভেরিফিকেশন হয় তাদের জয়েন ও অনেক দেরি হয়।তাই ভেরিফিকেশন নিয়ে সমান্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখলে বিষটি সহজে হ্যান্ডেল করতে পারবেন বলে আশা করি।
প্রস্তুতির অংশ হিসেবে যে সকল কাজ করতে পারেন সেগুলো দেওয়া হল।
১। ভেরিফিকেশন ফর্মে অতিরিক্ত তথ্য ও অপ্রয়োজনীয় তথ্য দেওয়া থেকে বিরত থাকা।
২। যারা ভেরিফিকেশন করবে তাদের কে খুশি রাখতে হবে। মানে তাদের সাথে বাড়াবাড়ি, দরাদরি, হাইকোর্ট দেখানো ইত্যাদি করা যাবে না।
3। নিজের এলাকায় পজেটিভ অবস্থান তৈরি করা। মানে হল এলাকাতে পুলিশ বা NSI যদি অন্য একজনের কাছে আপনার সম্পর্কে খোঁজ নেয় তবে যেন তারা আপনাকে চিনে এবং আপনার সম্পর্কে ভাল তথ্য দেয়।
4। এলাকার চেয়ারম্যান ও মেম্বার বা কমিশনারদের সাথে সু-সম্পর্ক তৈরি করা। সাধারনত পুলিশ বা NSI প্রথমে আপনপার এলাকার চেয়ারম্যান কে জানায় তারপর মেম্বার। তাই তাদের সাথে ভাল সম্পর্ক রাখুন কাজে দিবে।
৫। মামলা থেকে অব্যাহতি নেওয়া: অনেকেই পারিবারিক কারনে বা অন্য কারনে মামলা থাকতে পারে। এমন অনেকেই আছে যারা জানেনা যে তার নামে মামলা আছে। যাদের মামলা সম্পর্কিত ঝামেলা আছে তারা অতি দ্রুত মামলা নিষ্পতি করে ফেলেন (১-২ মাসের মধ্যে) কারন অাপনার নামে মামলা থাকলে ১০০% শিওর থাকেন যে রিপোর্ট নেগেটিভ হবে।
৬। যদি কেউ বিরোধী দলের রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকেন তবে দ্রুত সব বাদ দিন। আর আপনার ভাই বা বাবা বা পরিবারের কেউ যদি বিরোধী দলের রাজনীতিতে সক্রিয় থাকে তাহলে তাদেরকে এসব থেকে বিরত থেকে গোপনে কিভাবে রিপোর্ট পজেটিভ করা যায় সে ব্যাপারে ব্যাবস্থা নিতে বলুন। (এক্ষেত্রে একটি কথা বলে রাখি আমার ভেরিফিকেশনের সময় NSI সর্বপ্রথম যে প্রশ্নটি করেছিল সেটি হল আমরা কোন দল করি। তাই সাবধান থাকুন।)
৭। পারিবারিক ও এলাকার শত্রুদের থেকে দূরে থাকুন। আপনার চাকরি হওয়াতে আপনি ও আপনার পরিবার যেমন খুশি হয়েছে কিন্তু এক পক্ষ থাকাতে পারে যারা আপনার ভাল চায় না বা শক্রু। তাদের থেকে দূরে থাকুন। মূলতা তাদের কে জানানোর ই কোন দরাকার নাই এবং বেশি বাড়াবাড়ি করার কোন দরকার নেই।
বিঃদ্রঃ এখানে যে সকল বিষয় উল্লেখ করেছি সবই আমার বাস্তাব অভিজ্ঞতা থেকে আপনার সাথে পুরুপুরি নাও মিলতে পারে।। এই লেখার মূল উদ্দেশ্য আপনাদেরকে আগে থেকেই প্রিপেয়ার্ড করা। তাই কোন প্রকার বিতর্কিত ও বিরুপ মন্তব্য কোনভাবেই আশা করিনা।
No comments