Header Ads

একটি সুন্দর স্বাক্ষর থাকা কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ।

আমরা যারা ইঞ্জিনিয়ার আছি সবাইকেই বিভিন্ন কাজে স্বাক্ষর করতে হয়। আর যদি সরকারী চাকরিতে থাকেন তাহলে স্বাক্ষরের আলাদা একটা মূল্য থাকে ( হয় সেটা অাপনাকে দিতে হয় না হয় অন্য কাউকে)

আমি এই পোস্টের মাধ্যমে যেটি বলতে চাচ্ছি সেটি হল একজন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে আপনার ভাল এবং সুন্দর একটি স্বাক্ষর থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনার ব্যক্তিত্বের পরিচয় বহন করে। আর যদি স্বাক্ষরটি সুন্দর না হয় তাহলে নিজের মধ্যে একটা রাগ বা হিনমন্যতা কাজ করে যে, আপনার স্বাক্ষরটি অন্যদের চেয়ে খরাপ।



নতুন সরকরি চাকরিজীবীদের স্বাক্ষরের ক্ষেত্রে যে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়:
যাদের নতুর চাকরি হয় বা হয়েছে তারা সাধারণত স্বাক্ষর হিসেব তাদের নামকেই ব্যাবহার করে থাকেন। কিন্তু চাকরিতে যোগদান করার সময় যাদের সাইনিং পাওয়ার থাকে তাদের নমুনা স্বাক্ষরের একটি ফর্ম পূরন করতে হয় সেখানে তাদের ৬টি একই নমুনা স্বাক্ষর দিতে হয় এবং প্রত্যেকটি স্বাক্ষর কেই সত্যায়িত করাতে হয় এবং এই ফরম দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার স্বাক্ষর ও সীল দিয়ে সরকারের খাতায় জমা করতে হয়। মানে আপনি সরকারি ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যে সকল জায়গায় স্বাক্ষর করবেন সব স্বাক্ষর একই রকমে হতে হবে এবং সেটি ফর্মে যে নমুনা স্বাক্ষর করেছের তার অনুরপ একই স্বাক্ষরই বেতনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। মূল কথা সারা জীবন এই স্বাক্ষর কাজে লাগবে।

জয়েনিং এর সময় অনেকে ব্যস্ততার কারনে খুব ভাল স্বাক্ষর তৈরি করতে পারে না কিন্তু আগে থেকে প্র্যাকটিস করা থাকলে সহজেই সুন্দর স্বাক্ষর দেওয়া যায়।
তাই যারা সামনে চাকরিতে ঢুকবেন তারা এখন থেকেই অবসর সময়ে সুন্দর ও ভাল একটি স্বাক্ষর তৈরি করে নিতে পারেন। স্বাক্ষর তৈরির সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যে স্বাক্ষরটি যেন এক টানে হয়। এবং খুব বড় না হয় তাছাড়া এমন হতে হবে যেন অন্য কেউ সহজে কপি না করতে পারে।
যাদের এখনো চাকরি বাকরি হয়নি তারাও শিখে রাখতে পারেন একটু হলেও কাজ এগিয়ে থাকবে।
[বিঃদ্রঃ যাদের সামনে পরীক্ষা আছে তারা এখন স্বাক্ষর নিয়ে না ভাবলেও চলবে । পরীক্ষার পরে অনেক সময় পাবেন।

No comments

Powered by Blogger.